গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গৌছ হত্যা মামলায় সাফওয়ান আহমেদ জুয়েল (৩০) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। রোববার রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী সাফওয়ান আহমেদ জুয়েল বাঘা ইউনিয়নের লাল নগর গ্রামের ইজ্জাদ আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা। তিনি জানান, সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মারামারির সময় ছিলো। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে সনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘোঁষগাও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন সহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশের গুলিতে গোলাপগঞ্জের আরেকজন নিহত হন। গৌছ উদ্দিন হত্যার ঘটনা গত ২৩ আগস্ট গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলা ( মামলা নং ০৮, তারিখ-১৩/০৯/২৪ইং) দায়ের করেন।
এ মামলার এজহারে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করে সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১৩৪জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে সাফওয়ান আহমেদ জুয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়।