সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাজ উদ্দিন হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ১৮নং আসামী হাসান আহমদ কে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হাসান আহমদ বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের বারাম উদ্দিনের ছেলে ও বুধবারীবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এস আই বিবাশ।
জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন গত (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ-বিজিবি ও ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। ওইদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিজিৎ চৌধুরীর উপস্থিতিতে পুলিশ, বিজিবি ও সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪০)। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে দুই কন্যা সন্তানের জনক তাজ উদ্দিন ছিলেন সবার বড়।
এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট তাজ উদ্দিনের স্ত্রী মোছা: রুলি বেগম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়।
গোলাপগঞ্জে তাজ উদ্দিন সহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশের গুলিতে গোলাপগঞ্জের আরেকজন নিহত হন।