
আজ ১৯ অক্টোবর সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐ বৈঠকে থকতে পারছেন না সিলেট ৬ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী, বিএনপি চেয়ারপার্স নের ফরেন অ্যাফেয়ার্স এডভা্ইজর আ ম অহিদ আহমদ। তিনি এ ব্যাপারে দলের মহাসচিবের কতাছে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন লন্ডনে তাঁর নির্বাচিত কাউন্সিলে বহুদিন পর গেছেন। এবং জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সেখানে থাকায় তিনি ্আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।
অহিদ আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দেশে ৩১ দফার পক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি পালন শেষে অনেকদিন পর লন্ডনে এসেছেন। আমি এখনো এখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও প্রফেশনাল দায়িত্ব রয়েছি। আমি সাধারণত দায়িত্বে থেকে এর অবহেলা করিনা বা করতে চাইনা। অনেকেই হয়তো মনে করছেন এ মিটিংয়ে না গেলে নমিনেশন শেষ। আসলে তা নয়। এটা একটা মতবিনিময় সভা। নমিনেশন একটা প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায়ই কিন্তু সব চেয়ে ভালো প্রার্থী বেরিয়ে আসবে।
আপনারা যারা আমার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তারা হয়তো প্রথম দিন থেকেই অনুমান করতেছেন যে আমি শূধু নমিনেশণের জন্য এলাকায় আসিনি। আমার বড় ভাই মাওলানা রশিদ আহমদ নমিনেশন পাননি কিন্তু এলাকার মানুষের সাথে ভালোবাসার মধ্যেই তার সমাধি হয়েছে। আমার পিতা মাহমুদ হোসেইন এলাকার মানুষকে নিয়ে জীবন কঠিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জীবনও বিলিয়ে দিয়েছেন। আমারও জন্ম, বেড়ে উঠা, রাজনীতির শুরু এই এলাকায়ই। ইতিমধ্যেই এলাকায় আমরা ক্লাব, স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ফ্রি মেডিকেল সেন্টার গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি দিয়ে আসতেছি। আমার শত শত বন্ধু বান্ধব হিতাকাঙ্খী এই এলাকায় আছেন যারা রাজনীতির অনেক উর্ধে। মানুষের দুঃখ কষ্ট বা প্রয়জোনে আমার ভাই/বোন সর্বদাই আছে মানুষের পার্শে। অসহায় মানুষের পার্শে থাকা বা দাঁতব্য প্রতিষ্টানের জন্য কাজ আমাদের জন্য নির্বাচনী বা নমিনেশন প্রত্যাশার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। সমাজন্নোয়নে এইসব জনহিতকর কাজ করতে হয় রাজনীতির উর্ধে উঠে এবং সেটা আমাদের পূর্বপুরুষরাও করে এসেছেন এবং আমরা চালিয়ে যাচ্ছি নীরবে। মানুষের দুঃখ কষ্ট ঝড় খরা বা বন্যায় তাঁদের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো।
তবে আমার সাথে যারা কাজ করেছেন তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমি এমন কিছু করতে যাবোনা যা হবে অনৈতিক, দল ও নিজের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। আমার সম্মন্ধে জানলে জানতে পারবেন আমি নীতির সাথে আপোষ করিনি কিন্তু কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করেছি, নিজের বিবেক বেতন বা পাওয়ারের কাছে হার মানেনি। অহিদ আহমদ বলেছেন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। Thames Gateway Development Board memeber হিসাবে লন্ডনের বিশাল এরিয়া পুরোপুরি উন্নত করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সুযোগ পেলে আমাদের গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার তথা সিলেট সহ গোটা দেশের জন্য কাজ করে যাওয়াই আমার উদ্দেশ্য। তিনি দীপ্তকন্ঠে বলেছেন এলাকার উন্নয়নে আপনাদের সাথে থেকে যতটুকু সম্ভব কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।