
স্টাফ রিপোর্ট:
৪ আগস্ট, দুপুর ২টা। গোলাপগঞ্জ উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে সেদিন ৬জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন অসংখ্য ছাত্র জনতা। বিকেল ৪টার দিকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সামনে আন্দোলনকারীদের ধমিয়ে রাখতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। এই গুলিতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক গৌছ উদ্দিন ও ব্যবসায়ী মিনহাজ আহমদ নিহত হন। এসময় অসংখ্য আন্দোলনকারী আহত হন। এরমধ্যে আন্দোলনে থাকা পাবেল আহমদ ইমনের বুকে পিঠে হাতে পায়ে শটগানের অন্তত ৩০টি ছররা গুলির লেগেছিল। এই গুলিগুলোর কিছু গুলি বাহির করা গেলেও এখনো অনেক গুলি রয়েছে তার শরীরে।
ঘটনার সময় তাৎক্ষণিক ইমনকে উপস্থিত ছাত্র জনতা সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সে। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর বর্তমানে সে বাড়িতে রয়েছে।
পাবেল আহমদ ইমন পৌর এলাকার ইয়াগুল গ্রামের ছালেহ আহমদের ছেলে ও সরকারি এমসি একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং উপজেলা ছাত্রদল কর্মী।
এছাড়াও সে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, প্যারিস মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল আহমদের ছোট ভাই।
জুয়েল আহমদ জানান, আমার ছোট ভাই এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। মহান আল্লাহ তালার অশেষ কৃপায় বেঁচে ফিরেছে।