
হবিগঞ্জের মাধবপুরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো: হুমায়ুন কবিরের গ্রামের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাধবপুর উপজেলার শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
প্রবাসী মো: হুমায়ুন কবির মাধবপুর উপজেলার উত্তর বেজুড়া গ্রামের মো: ফরাজ মিয়ার ছেলে।
সে বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারের বসবাস করতেন এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জানা গেছে, গতকাল (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মো: হুমায়ুন কবিরের মাধবপুর’স্থ গ্রামের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো: হুমায়ুন কবির সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে লন্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে ফেসবুকে দেখা যায়। এই সমাবেশের কয়েকটি ছবিসহ গত (২৬ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি। উক্ত স্ট্যাটাস’কে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা করে।
তার পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশরাফুল ইসলাম এর
নেতৃত্বে ২টি মোটরসাইকেল করে ৫/৬ জন লোক তাদের বাড়ীতে এসে হামলা চালায়। হামলায় প্রায় ৮- ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয় এবং দুর্বৃত্তরা অনেক মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাছাড়া তারা প্রবাসী মো: হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলে সে প্রবাসে থেকে কেন বর্তমান সরকার’কে কটাক্ষ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ? এসব সরকার বিরোধী স্ট্যাটাস গুলো দ্রুত ডিলেট করে তাকে প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে ক্ষমা চাইতে হবে হুমকি দিয়ে যায়।
এদিকে, পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায় হুমায়ুন কবিরের এর ব্যবহৃত ফেইসবুক আইডি হতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে ফেইসবুকে এবং ম্যাসেইঞ্জারে অনেকে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা ও মাধবপুরের নেতাদের সাথে একাধিক বার কল দিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
*নিউজ -০২ তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪*
সিলেটে আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আরেক মামলা, আসামি আনোয়ারুজ্জামানসহ ৪০১
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৪০১জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১০১ জন নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০/৩০০শ’ জনকে আসামি করা হয়।
গত ( ২৮ আগস্ট) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে গত (৪ আগস্টের) শেখ হাসিনার পতনের ১ দফার দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে আহত আব্দুর রহমান (৪৩) বাদী হয়ে নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারনামীয় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ১। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫৮), পিতা নওশাদ মিয়া, / সাকিন-বুরুঙ্গা, থানা-ওসমানীনগর, জেলা-সিলেট, সাবেক মেয়র, করা সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট, ২। হাবিবুর রহমান হাবিব (৫৫) (সাবেক এম.পি), পিতা সুবেদার আলী গণী, সাকিন-দরগাঁও, কামাল বাজার, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট, ৩। আজবাহার আলী শেখ (৫০), উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) (সংযুক্ত পুলিশ কমিশনার কার্যালয়), এস.এম.পি, সিলেট, ৪। মোঃ সাদেক দস্তগীর কাউছার (৪০), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম উত্তর), এস.এম.পি, সিলেট, ৫। কল্লোল গোস্বামী, এস.আই, সাবেক ইনচার্জ, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, বি.পি নং-৮৪১১১৩৪২২৩, ৬। আফতাব হোসেন খান (৪০) (সভাপতি, সিলেট মহানগর স্বোচ্ছাসেবক লীগ), সাকিন-পশ্চিম পীরমহল্লা, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-সিলেট, সাবেক কাউন্সিলর, ৭নং ওয়ার্ড, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ৭। মখলিছুর রহমান কামরান (৫৫) (কমিশনার, ৯নং ওয়ার্ড), মুহিবুর রহমান উরফে কামাল (৪৮), উভয় পিতা আব্দুর রহমান মাখন মিয়া, সাকিন-বাসা নং-০১. ব্লক-ই, নেহারীপাড়া, কোতয়ালী, ৮। মোঃ হুমায়ুন কবির (২৯) (ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ), পিতা : মোঃ ফরাজ মিয়া, সাকিন-উত্তর বেজুড়া, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানাঃ-৩৫/বি, বড়বাজার, আম্বরখানা, থানা-এয়ারপোর্ট, সিলেট ১০। সুভ্রত পুরকায়স্থ (৩৮), নরসিংটিলা, থানা-কোতয়ালী, সিলেট। ১১। আব্দুল হাই মামুন (৫০), পিতা আব্দুল খালিক মনিয়া মাস্টার, ১২। আশফাকুল ইসলাম সাব্বির (৫৫), পিতা ফিরু মিয়া, সাকিন-মাইজগাঁও, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট। ১৩। পান্না দাস (৪০), পিতা মুখেন্ন বিকাশ দাস, সাকিন-দাড়িয়াপাড়া, সিলেট। ১৪। পলাশ দাস (৪২), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-নরসিংটিলা, সিলেট। ১৫। মোঃ নুরুল ইসলাম খাঁন (৪৫), পিতা আব্দুল গফুর খাঁন, সাকিন-তোফখানা, আখালিয়া, সিলেট। ১৬। নাহিদ আহমদ বাবলু (৪৫), চেয়ারম্যান, ৫নং দক্ষিন কাজল শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পিতা মৃত আব্দুল খালিক মনিয়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০১ নেতার নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ২৫০/৩০০শ’ জনকে আসামি করা হয়।